ঢাকা, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (একুশের বাণী): বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ১২টি আন্তর্জাতিক সম্পদ পুনরুদ্ধার ও আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) স্বাক্ষরের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যাংক পরিচালকদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ওমর ফারুক খান বলেন, “ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় পাচার হওয়া অর্থের উৎস অনুসন্ধান এবং তা ফেরত আনার কাজে অংশ নেবে।”
তিনি আরও জানান, এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে, যাতে অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া কার্যকর হয়।

ওমর ফারুক খান বলেন, “কিছু ব্যাংক নেতৃত্ব দিয়ে অন্যদের সঙ্গে কনসোর্টিয়াম গঠন করবে। এনডিএ চুক্তি সম্পন্ন হলে, উদ্ধারকৃত অর্থের ব্যবস্থাপনা ও জমা দেওয়ার পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।”

সরকার প্রাথমিকভাবে ১১টি শিল্পগোষ্ঠীকে অর্থ পাচারের সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে— নাসা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, সিকদার গ্রুপ, ওরিয়ন, জেমকন, নাবিল, সামিট, আরামিটসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

অর্থ পাচারের অভিযোগে বলা হয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো অর্থের একটি অংশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপকারে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে দেশের অবৈধ অর্থপাচার প্রতিরোধ ও আর্থিক স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।