দৈনিক একুশের বাণী | THE DAILY EKUSHER BANI

নতুন ভাইরাস এইচএমপি: বাংলাদেশের জন্য কি রয়েছে ঝুঁকি?

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে উদ্ভব ঘটে কোভিড-১৯ ভাইরাসের, যা একপর্যায়ে বৈশ্বিক মহামারির রূপ নেয়। এই মহামারি বিশ্বকে স্থবির করে দেয় এবং লাখো প্রাণ কেড়ে নেয়। পাঁচ বছর পর, চীন আবারও একটি নতুন রোগের বিস্তারের খবরে শিরোনামে এসেছে, যা প্রাথমিকভাবে রাইনোভাইরাস এবং হিউম্যান-মেটা-নিউমো (এইচএমপি) ভাইরাসের সংক্রমণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। এই রহস্যময় রোগের প্রভাব ইতোমধ্যে জাপানেও দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসটি প্রধানত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।

NATIONAL NEWSHEALTH

1/6/20251 min read

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ (দৈনিক একুশের বাণী): ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে উদ্ভব ঘটে কোভিড-১৯ ভাইরাসের, যা একপর্যায়ে বৈশ্বিক মহামারির রূপ নেয়। এই মহামারি বিশ্বকে স্থবির করে দেয় এবং লাখো প্রাণ কেড়ে নেয়। পাঁচ বছর পর, চীন আবারও একটি নতুন রোগের বিস্তারের খবরে শিরোনামে এসেছে, যা প্রাথমিকভাবে রাইনোভাইরাস এবং হিউম্যান-মেটা-নিউমো (এইচএমপি) ভাইরাসের সংক্রমণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। এই রহস্যময় রোগের প্রভাব ইতোমধ্যে জাপানেও দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসটি প্রধানত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, এইচএমপি কোনো নতুন ভাইরাস নয় এবং এটি নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তিনি বলেন, "এটি অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রীয় ভাইরাসের মতোই, যার উপসর্গ সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডার মতো। তবে কোভিড-১৯ ছিল একটি একেবারে নতুন এবং ভিন্নধর্মী ভাইরাস, যার কারণে এর মহামারির বিস্তার এত ব্যাপক ছিল।"

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন আরও বলেন, "এইচএমপি ভাইরাসের জন্য কোনো সরাসরি ওষুধ নেই, তবে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা কার্যকর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভাইরাসটির গতিবিধির ওপর নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।"

এইচএমপি ভাইরাসের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, যেমন নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে ২০২৩ সালে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস মূলত শিশু এবং বয়স্কদের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশের জন্য করণীয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সঠিক হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার এবং জনাকীর্ণ স্থানে সতর্কতা বজায় রাখার মাধ্যমে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

এছাড়া স্বাস্থ্য ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে ভাইরাসটির উপর নজরদারি জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে এইচএমপি ভাইরাসের অতীত উপস্থিতি থাকলেও, সচেতনতা এবং সতর্কতাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি হতে পারে।