ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিতে চাপ, খোলা বাজারে ১২৩ টাকা ছুঁয়েছে
ডলারের দাম আবারও বাড়তি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। খোলা বাজারে প্রতি ডলার বর্তমানে ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সাড়ে চার মাস স্থিতিশীল থাকার পর, ব্যাংকগুলো আমদানির জন্য উচ্চ দামে ডলার কেনা শুরু করেছে, যা আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে।
NATIONAL NEWSBUSINESS & COMMERCE
12/17/20241 min read


ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): ডলারের দাম আবারও বাড়তি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। খোলা বাজারে প্রতি ডলার বর্তমানে ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সাড়ে চার মাস স্থিতিশীল থাকার পর, ব্যাংকগুলো আমদানির জন্য উচ্চ দামে ডলার কেনা শুরু করেছে, যা আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রেমিট্যান্স সংগ্রহে কিছু ব্যাংক সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় ডলার কিনছে এবং আমদানির ক্ষেত্রে তা ১২৪ টাকায় বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ডলারের সর্বোচ্চ বেচাকেনার সীমা ১২০ টাকা থাকলেও, ব্যাংকগুলো নিজস্ব প্রণোদনা সমন্বয় করে অতিরিক্ত তিন থেকে চার টাকায় ডলার বিক্রি করছে।
রেমিট্যান্স ও ডলারের সংকট
ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহে প্রণোদনার হার আগের মতোই আড়াই শতাংশ রাখা হয়েছে। এতে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীরা ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১২৬ টাকা পাচ্ছেন। রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে কিছু ব্যাংক আবারও অতিরিক্ত প্রণোদনা কার্যকর করেছে।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে আমদানির বকেয়া পরিশোধে কঠোরতা আরোপ করায় ডলারের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সংকট আরও প্রকট হয়েছে। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।
বাজারভিত্তিক ডলারের দাম নির্ধারণের সুপারিশ
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইএমএফ-এর বৈঠকে ডলারের বর্তমান ক্রলিং পেগ পদ্ধতি পরিবর্তন করে বাজারভিত্তিক দামের সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ডলারের মূল্য বাজারের চাহিদা-সরবরাহের ভিত্তিতে নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে ডলার ধরে রাখার প্রবণতা কমে বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়বে।
সামগ্রিক প্রভাব
ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি ব্যয় বাড়ছে, যা মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।