আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা: ঢাকার তীব্র প্রতিবাদ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে সোমবার এক দল বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা এ হামলা চালান। তারা হাইকমিশনে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
NATIONAL NEWS
12/3/20241 min read


ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে সোমবার এক দল বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা এ হামলা চালান। তারা হাইকমিশনে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পূর্বপরিকল্পিত হামলা: বাংলাদেশ
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনা ভিয়েনা সনদ লঙ্ঘন এবং কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাগতিক দেশের ব্যর্থতার উদাহরণ। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
কূটনৈতিক নিরাপত্তায় ঘাটতি
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যায়নি। হামলাকারীরা জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে, সম্পত্তি ভাঙচুর করে এবং জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকে। এ ঘটনার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে এবং কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে।
মুম্বাই ও কলকাতায়ও বিক্ষোভ
একই দিন মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) উদ্যোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতায়ও বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামের একটি সংগঠন বাংলাদেশবিরোধী সহিংস কর্মসূচি পালন করে। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
ভারতে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়ছে। আগরতলার হামলার পেছনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, একটি বিশেষ গোষ্ঠী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক আহ্বান
বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনার পর দিল্লিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা বাড়িয়েছে। ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সামনে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ এবং সহিংসতার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর চাপ বাড়ছে। তবে উভয় দেশের সরকার এ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।