২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: বিচারের দীর্ঘযাত্রা
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
NATIONAL NEWS
12/1/20241 min read


ঢাকা, ১ ডিসেম্বর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ১১ জুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেওয়া প্রথম অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুই বছরের তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জন নতুন করে যুক্ত হন। এতে মোট আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ জন। বিএনপি এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে, যেখানে তারেক রহমানকে শেখ হাসিনার নির্দেশে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দলটি।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর, ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন এই মামলার রায়ে ১৯ জনকে ডাবল মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে মামলাটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আকারে আসে।
হাইকোর্টে বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও এই মামলাটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।