৩ মাস পরই খেলাপি চিহ্নিত হবে ঋণ: নতুন নীতিমালা কার্যকর এপ্রিল থেকে
বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপি সংক্রান্ত নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এখন থেকে কোনো ঋণ বা তার কিস্তি নির্ধারিত সময়ে পরিশোধিত না হলে পরদিন থেকেই তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে। ৩ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ বা নবায়ন না করা হলে সেটি খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
NATIONAL NEWSBUSINESS & COMMERCE
11/28/20241 min read


ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপি সংক্রান্ত নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এখন থেকে কোনো ঋণ বা তার কিস্তি নির্ধারিত সময়ে পরিশোধিত না হলে পরদিন থেকেই তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে। ৩ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ বা নবায়ন না করা হলে সেটি খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সার্কুলারের মাধ্যমে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এ নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানে খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা
বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি চিহ্নিত হওয়ার সময়সীমা আলাদা ছিল। কিছু ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৬ মাস পর খেলাপি হিসেবে ধরা হতো। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে এ সময়সীমা ৩ মাস করা হয়েছে। ফলে খেলাপি হওয়ার সময় ৩ মাস কমে আসায় আগামীতে খেলাপি ঋণের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল ধারণা করছে।আইএমএফের শর্ত পূরণে নতুন পদক্ষেপ
বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো সংস্থাগুলো। আন্তর্জাতিকভাবে কোনো ঋণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না হলে ৩ মাসের মধ্যে খেলাপি হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে দেশে বড় ঋণগ্রহীতা ও প্রভাবশালী মহলের চাপে পূর্ববর্তী সময়ে এ সময়সীমা ৬ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল, যারা এবার খেলাপি ঋণ নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা করবে।নতুন নীতিমালার সম্ভাব্য প্রভাব
খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আরও কঠোর হওয়ার ফলে দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অনেকেই মনে করছেন, খেলাপি ঋণের সংখ্যা সাময়িকভাবে বাড়তে পারে, যা ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে চাপ সৃষ্টি করবে।