দৈনিক একুশের বাণী | THE DAILY EKUSHER BANI

পলিথিন ব্যাগে নিষেধাজ্ঞায় পাটের দাম বেড়েছে মনপ্রতি ৬০০ টাকা

অন্তর্বর্তী সরকার পলিথিন ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। তবে জোগান কম থাকায় ভালোমানের পাট গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশের অন্যতম প্রধান পাট-উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুরের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর পাটের উৎপাদন অনেক কম। কারণ হিসাবে কৃষকেরা বলেছেন গত মার্চ-এপ্রিলে পাট রোপণের সময় অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালোভাবে হয়নি।

NATIONAL NEWS

11/14/20241 min read

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকার পলিথিন ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। তবে জোগান কম থাকায় ভালোমানের পাট গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

দেশের অন্যতম প্রধান পাট-উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুরের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর পাটের উৎপাদন অনেক কম। কারণ হিসাবে কৃষকেরা বলেছেন গত মার্চ-এপ্রিলে পাট রোপণের সময় অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালোভাবে হয়নি।

এ ছাড়াও, বিগত বছরগুলোয় পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশে পাটের উৎপাদন কমেছে।

বাংলাদেশ পাট অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন হয়েছিল ৮৪ লাখ ১৪ হাজার (প্রায় ১৮২ কেজিতে এক বেল)। চলতি অর্থবছরের এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ ৭৪ হাজার বেল। পাট চাষী ও ব্যবসায়ীদের মতে, সরকার গত অক্টোবর থেকে সুপারমলে ও গত ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করায় পাটের দাম বেড়েছে। তারা জানান, বর্তমানে সবচেয়ে ভালোমানের পাট মনপ্রতি তিন হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে তা ছিল তিন হাজার ২০০ টাকা। মাঝারি মানের পাট দুই হাজার ৬০০ টাকা থেকে হয়েছে তিন হাজার ২০০ টাকা।

ফরিদপুরের কানাইপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, মান ও রঙের ওপর নিভর করে প্রতি মন পাট ফরিদপুরে তিন হাজার ২০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর একই সময়ে তা ছিল দুই হাজার ৬০০ টাকা থেকে তিন হাজার ২০০ টাকা। দেশের অপর প্রধান পাট উৎপাদনকারী জেলা পাবনার পাট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহমুদুর নবী বলেন, পাটের দাম বেড়েছে মূলত চাহিদার জন্য। দাম বাড়লেও অনেক কৃষক পাট চাষে তেমন লাভ করতে পারেননি। পাট কাটার পর সার ও শ্রমিকের টাকা পরিশোধে অনেককে কম দামে পাট বিক্রি করতে হয়েছে।

ফরিদপুরের পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যদিও পাট চাষের প্রথম দিকে তাপমাত্রার জন্য চারা ভালো হয়নি, তবে পাট জাগ দেওয়ার সময় বেশি বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা এ বছর ভালোমানের পাট পেয়েছেন। তাই দাম ভালো।

পাটকলের মালিক ও করিম গ্রæপের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া বলেন, কারখানার মালিকরা কৃষকদের ন্যায্য দাম দিতে চান। তারা ন্যায্য দাম পেলে পাট উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন। মালিকরা পাট পণ্য রপ্তানি ও কারখানা চালু রাখতে পারবেন।