বঙ্গভবনের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সারাদিনের আন্দোলনের পর বুধবারও বঙ্গভবনের সামনে পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি নেই, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপকভাবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা নিরাপত্তা কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।
NATIONAL NEWS
10/23/20241 min read


ঢাকা, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সারাদিনের আন্দোলনের পর বুধবারও বঙ্গভবনের সামনে পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।
সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি নেই, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপকভাবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা নিরাপত্তা কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।
বঙ্গভবনের সামনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের বেষ্টনী এবং তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়া বসানো হয়েছে। যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তেমন কোনো বড় জমায়েত দেখা যাচ্ছে না; তবে আন্দোলনকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তার সঙ্গে ছিলেন গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে আইন ও তথ্য উপদেষ্টাদের একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয় এবং পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর প্রধান বিচারপতি আইজিপি, র্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্রজনতা বিক্ষোভ শুরু করে। রাত ৮টার দিকে কিছু আন্দোলনকারী গাছের শুকনো ডাল ভেঙে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্র্যানেডে সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন, এবং পুলিশের কয়েকজন সদস্যও বিক্ষোভকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হন।