জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এই তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও মৃত্যু দিবস, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস, এবং জাতীয় সংবিধান দিবসসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিবস।
NATIONAL NEWS
10/16/20241 min read


ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এই তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও মৃত্যু দিবস, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস, এবং জাতীয় সংবিধান দিবসসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিবস।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে এসব দিবস বাতিলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে শীঘ্রই একটি পরিপত্র জারি করা হবে। তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন ৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
বাতিল হতে যাওয়া জাতীয় দিবসগুলোর মধ্যে পাঁচটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যু দিবস, শেখ রাসেল দিবস, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জন্মবার্ষিকী এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও, বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, জাতীয় সংবিধান দিবস এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস। উল্লেখ্য, ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো ২০১৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার এরপর দিবসটিকে জাতীয়ভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং মন্ত্রিপরিষদ থেকে এটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ঐদিনের সরকারি ছুটি বাতিলের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।