মিরপুর-১০ মেট্রোস্টেশন চালু, মেরামতে খরচ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা
দীর্ঘ দুই মাস ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পুনরায় চালু করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্টেশনটি ভাঙচুরের শিকার হলে তা মেরামতে খরচ হয় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আজ সকালে মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য জানান।
NATIONAL NEWS
10/15/20241 min read


ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): দীর্ঘ দুই মাস ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পুনরায় চালু করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্টেশনটি ভাঙচুরের শিকার হলে তা মেরামতে খরচ হয় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আজ সকালে মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "মিরপুর-১০ স্টেশন পুনরায় চালু করতে আমাদের খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যেহেতু অন্যান্য স্টেশন থেকে যন্ত্রাংশ এনে মেরামতের কাজ করা হয়েছে, ফলে দুই স্টেশনে মোট খরচ দাঁড়াবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।"
এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া স্টেশনও ২২ লাখ টাকার ব্যয়ে পুনরায় চালু করা হয়।
আন্দোলনের সময়ের ক্ষয়ক্ষতি ও মেরামত:
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির সময় মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে আগুনের ধোঁয়া মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং জননিরাপত্তার কারণে বিকেল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর, সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মেট্রোরেল বন্ধ রাখা হয়।
সেই সময় বিক্ষোভের কারণে কাজীপাড়া এবং মিরপুর-১০ স্টেশন ভাঙচুরের শিকার হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে স্টেশন দুটি ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং তা বন্ধ রাখা হয়।
পুনরায় চালুর প্রতিশ্রুতি:
আওয়ামী লীগের আগের সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো মেরামত করে চালু করতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল, এবং ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে দুই মাসের মধ্যেই কাজীপাড়া স্টেশন এবং দুই মাস ২৭ দিনের মধ্যে মিরপুর-১০ স্টেশন পুনরায় চালু করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
মিরপুর-১০ স্টেশনটি ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম স্টেশন হিসেবে পরিচিত, তাই এর পুনরায় চালু হওয়া রাজধানীর যাতায়াত ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।