দৈনিক একুশের বাণী | THE DAILY EKUSHER BANI

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও খ্যাতিমান চিকিৎসক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ইন্তেকাল

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও খ্যাতিমান চিকিৎসক অধ্যাপক এ. কিউ. এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উত্তরার মহিলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।

NATIONAL NEWS

10/5/20241 min read

ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): সাবেক রাষ্ট্রপতি ও খ্যাতিমান চিকিৎসক অধ্যাপক এ. কিউ. এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উত্তরার মহিলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানান, তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ এ ভুগছিলেন এবং বুধবার সকালে ফুসফুসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ মুহূর্তে পরিবারের সদস্যরা তাঁর পাশে ছিলেন।

আজ শনিবার সকালে উত্তরার মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকার বারিধারায় তাঁর বাসভবনে, যেখানে দ্বিতীয় জানাজার আয়োজন করা হবে। আগামীকাল মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

রাজনীতিবিদ ও তাঁর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী ফেসবুকে বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলেন, গত ১৩ জুলাই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি একাধিকবার চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা। ১৯৭৯ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর উপস্থাপনায় বিটিভির আপনার ডাক্তার অনুষ্ঠানটি সেই সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তবে ২০০২ সালে রাজনৈতিক কারণবশত পদত্যাগ করেন। ২০০৪ সালে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।