দৈনিক একুশের বাণী | THE DAILY EKUSHER BANI

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, সতর্ক থাকার আহ্বান

গাজাবাসীর জন্য প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে। আজ রোববার সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মধ্যস্থতায় ছিল কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসর।

INTERNATIONAL NEWS

1/19/20251 min read

ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ (দৈনিক একুশের বাণী): গাজাবাসীর জন্য প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে। আজ রোববার সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মধ্যস্থতায় ছিল কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসর।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারী জানান, গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তিনি গাজার জনগণকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ইসরায়েলের জোট সরকার গতকাল শনিবার দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার বৈঠক শেষে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্দী বিনিময় কার্যক্রম আজ শুরু হবে। তবে বন্দী মুক্তির নির্দিষ্ট সময় এখনও পরিষ্কার করেনি তারা।

ফিলিস্তিনের দায়িত্ব নিচ্ছে মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজার দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং গাজার পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

২০০৭ সাল থেকে গাজা পরিচালনা করে আসা হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধ-পরবর্তী দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে তারা। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান ঘোষণা করা হয়নি।

তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ১৯ বছরের কম বয়সী ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অংশ গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে বাকি জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েলের কারাগারে থাকা আরও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। তৃতীয় ও শেষ ধাপে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।

পটভূমি
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জেরে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এই অভিযানে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। গাজার পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক মহল এখন শান্তি স্থাপনে নজর দিচ্ছে।