দৈনিক একুশের বাণী | THE DAILY EKUSHER BANI

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি, রোববার থেকে কার্যকর: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর গাজার জনগণের জন্য আশা নিয়ে এলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং দখলদার ইসরায়েল অবশেষে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় দুই পক্ষের প্রতিনিধির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি কার্যকর হবে আগামী রোববার থেকে।

INTERNATIONAL NEWS

1/16/20251 min read

একুশের বাণী ডেস্ক (১৬ জানুয়ারি ২০২৫): দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর গাজার জনগণের জন্য আশা নিয়ে এলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং দখলদার ইসরায়েল অবশেষে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় দুই পক্ষের প্রতিনিধির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি কার্যকর হবে আগামী রোববার থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে এবং জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন নিশ্চিত করবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও জানান, চুক্তির চূড়ান্ত প্রক্রিয়া এখনো চলছে। হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া একে ফিলিস্তিনি জনগণের অপরিসীম স্থিতিস্থাপকতার ফল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও আগ্রাসন অব্যাহত
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন থামেনি। হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, কাতারের ঘোষণা আসার পরও ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ জন ছিলেন গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ার একটি আবাসিক ব্লকের বাসিন্দা। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ প্রতিরোধের ফসল
হামাসের পক্ষ থেকে এই চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ প্রতিরোধের সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে গাজার স্থলভাগে ইসরায়েলি বাহিনীর তৎপরতা এবং হতাহতের ঘটনা এই যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি করেছে।

দীর্ঘমেয়াদি শান্তির প্রত্যাশা
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং লাখের বেশি আহত। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির এ চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনার সম্ভাবনা জাগালেও, এর কার্যকারিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নির্ভর করবে উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতি পালনের ওপর।