বিশ্ব বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের করনীতি
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের এ ধরনের ঘোষণায় তার সম্ভাব্য নীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। অতীতে ট্রাম্প চীনসহ বেশ কিছু দেশের নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছিলেন; এবার তিনি যদি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর ১০-২০ শতাংশ কর আরোপ করেন, তাহলে বিশ্ব বাণিজ্যে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
INTERNATIONAL NEWS
11/7/20241 min read


ঢাকা, ৭ নভেম্বর ২০২৪ (দৈনিক একুশের বাণী): ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের এ ধরনের ঘোষণায় তার সম্ভাব্য নীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। অতীতে ট্রাম্প চীনসহ বেশ কিছু দেশের নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছিলেন; এবার তিনি যদি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর ১০-২০ শতাংশ কর আরোপ করেন, তাহলে বিশ্ব বাণিজ্যে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের নতুন করনীতির প্রাথমিক প্রভাব ইউরোপের ওপর পড়তে পারে। সম্প্রতি এক ভাষণে ট্রাম্প ইউরোপের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকান গাড়ি আমদানি করছে না, অথচ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিমাণে ইউরোপীয় গাড়ি রপ্তানি করছে। এর ফলে ইউরোপের বড় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে শেয়ার বাজারে ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত দর পতন দেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে জার্মানির মতো বড় গাড়ি রপ্তানিকারকদের অন্যতম প্রধান বাজার, এবং কর বৃদ্ধির প্রভাব পড়লে তারা সেখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনকে লক্ষ্য করে ট্রাম্পের কঠোর করনীতি চীনের অর্থনৈতিক প্রভাবকে সীমিত করার একটি প্রচেষ্টা হতে পারে। ট্রাম্প ইতিপূর্বে করকে একটি 'শক্তিশালী অস্ত্র' হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন এবং এই নীতি প্রয়োগে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যদিও তার বক্তব্য সরাসরি চীনকে উদ্দেশ্য করে, তবুও অন্যান্য দেশও এই নীতির আওতায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে জি-৭ অর্থমন্ত্রীরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বিশ্ব অর্থনীতিতে তার মিত্রদেরও স্বার্থ বিবেচনা করা। তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন ধরনের বাণিজ্য প্রতিযোগিতা এবং অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে।